ইহুদি ও কুরআনের আয়াত
ইহুদি ও কুরআনের আয়াত
============
ইব্রাহীম (আ:) এর পুত্র ইসহাক, তার পুত্র ইয়াকুব (আ:) ওরফে ইসরাইল (ইস্রাঈল বা ইস্রায়েল) এর বংশধরগণ বনী-ইস্রায়েল নামে পরিচিত। ইয়াকুব (আ:) এর বারো পুত্রের নামে বনী-ইস্রায়েলের বারোটি গোষ্ঠীর জন্ম হয় যার মধ্যে ইয়াহুদা'র ইহুদি নামে পরিচিত। ইহুদি একটি জাতি বা ধর্মীয় জনগোষ্ঠী যারা বনী-ইস্রায়েল জাতির অন্তর্গত এবং জাতিগতভাবে ইহুদি ধর্মের অনুসারী।
============
ইব্রাহীম (আ:) এর পুত্র ইসহাক, তার পুত্র ইয়াকুব (আ:) ওরফে ইসরাইল (ইস্রাঈল বা ইস্রায়েল) এর বংশধরগণ বনী-ইস্রায়েল নামে পরিচিত। ইয়াকুব (আ:) এর বারো পুত্রের নামে বনী-ইস্রায়েলের বারোটি গোষ্ঠীর জন্ম হয় যার মধ্যে ইয়াহুদা'র ইহুদি নামে পরিচিত। ইহুদি একটি জাতি বা ধর্মীয় জনগোষ্ঠী যারা বনী-ইস্রায়েল জাতির অন্তর্গত এবং জাতিগতভাবে ইহুদি ধর্মের অনুসারী।
ইহুদি শব্দটা হিব্রু। সেমেটিক (মধ্যপ্রাচীয়ও) ধর্মগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরনো ধর্ম হল ইহুদি ধর্ম (JUDAISM)। ইহুদিদের ইংরেজিতে JEW বলে। হিব্রু শব্দের শুরুতে Y ভাওয়েল থাকলে সেটা ইংরেজি বা গ্রিকে J দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়। সে হিসেবে ইহুদি –> জিহুদি –> জিউ (জ্যু)। ২০১৫ সালের হিসেব মতে বিশ্বে ইহুদি জনসংখ্যা বিশ্বের ১৩৪ লক্ষ অর্থাৎ বিশ্ব জনসংখ্যার মাত্র ০.২% !! মোট ইহুদির ৪২.৫% ইসরাইলে, আর ৩৯.৩% আমেরিকায় বাস করে।ইহুদিদের ভাষা হিব্রু। হিব্রুকে তারা “পবিত্র ভাষা”বলে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় খৃষ্টীয় ২০০ সাল পর্যন্ত হিব্রুর ব্যবহার ছিল। এরপর এ (ইহুদি) জাতির নানাবিধ সংঘাত, সংগ্রামে হিব্রু ছিল একটা মৃত ভাষা। এরপর ১৮৮১ সালে এলিয়েজার বিন ইয়াহুদা এ মৃত ভাষাকে পুনর্জীবিত করে। হিব্রু এখন ইসরাইলের রাষ্ট্রীয় ভাষা ও জীবন্ত ভাষা।
=========
বনী-ইস্রায়েল বা ইহুদিদের নিয়ে কুরআনের আয়াত -
-----
সূরা আল বাকারা, আয়াত ৪৭, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৫, ৯২, ১২২
=========
-----
সূরা আল বাকারা, আয়াত ৪৭, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৫, ৯২, ১২২
"হে বনী-ইসরাঈলগণ! তোমরা স্মরণ কর আমার অনুগ্রহের কথা, যা আমি তোমাদের উপর করেছি এবং (স্মরণ কর) সে বিষয়টি যে, আমি তোমাদেরকে উচ্চমর্যাদা দান করেছি সমগ্র বিশ্বের উপর।" (আয়াত ৪৭)
"তোমরা তাদেরকে ভালরূপে জেনেছ, যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘণ করেছিল। আমি বলেছিলামঃ তোমরা লাঞ্ছিত বানর হয়ে যাও।" (আয়াত ৬৫)
"আর স্মরন কর ( সে সময়ের কথা)যখন বনী ইস্রালদের থেকে অংগীকার নিয়েছিলাম যে,তোমরা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করবে না , মাতা পিতা আত্নীয় স্বজন,এতিম ও মিসকিনদের প্রতি সদ্বব্যবহার করবে এবং মানুষের সাথে সদালাপ করবে আর নামাজ যথাযথ ভাবে কায়েম করবে এবং যাকাত প্রদান করবে কিন্ত স্বল্প সংখ্যক লোক ছাড়া তোমরা সকলে ফিরে গেলে ( এঅংগিকার পালনে) ও মুখ ফিরিয়ে নিলে।" (আয়াত ৮৩)
"(হে ইহুদী সমাজ) যখন তোমাদের থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছিলাম যে, তোমরা পরস্পরে রক্তপাত করবে না আর আপনজনকে স্বদেশ থেকে বহিস্কার করবেনা অতঃপর তোমরা ত্রুটি স্বীকার করেছিলে আর এ বিষয়ে তোমরাই এর স্বাক্ষী।" (আয়াত ৮৪)
"অতঃপর তোমরাই যারা পরস্পরে হত্যা করেছ এবং তোমাদের একদল তাদের স্বদেশ থেকে বহিস্কার করছ ,তোমরা তাদের বিরুদ্ধে অন্যায় ও সীমা লন্ঘন দ্বারা সাহায্য করছ এবং তারা যখন বন্দীরুপে তোমাদের নিকট আসে তখন তোমরা মুক্তিপণ চাও অথচ তাদের বের করণই ছিল তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ,তাহলে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশ বিশ্বাষ কর আর কিছু অংশ অবিশ্বাষ কর? সুতরাং তোমাদের মধ্যে যারা এরুপ কাজ করে তাদের একমাতো প্রতিফল পার্থিব জীবনে হীণতাবৈ কিছুই নয় এবং কিয়ামতের দিন (শেষ বিচারের দিন)তারা কঠিনতম শাস্তিতে নিক্ষিপ্ত হবে তারা যা করে আল্লাহ সে সম্মন্ধে গাফেল নন।" (আয়াত ৮৫)
"সুস্পষ্ট মু’জেযাসহ মূসা তোমাদের কাছে এসেছেন। এরপর তার অনুপস্থিতিতে তোমরা গোবৎস বানিয়েছ। বাস্তবিকই তোমরা অত্যাচারী।" (আয়াত ৯২)
"হে বনী-ইসরাঈল! আমার অনুগ্রহের কথা স্মরণ কর, যা আমি তোমাদের দিয়েছি। আমি তোমাদেরকে বিশ্বাবাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।" (আয়াত ১২২)
==========
সূরা আত তাওবাহ , আয়াত ৩০
==========
সূরা আত তাওবাহ , আয়াত ৩০
"ইহুদীরা বলে ওযাইর আল্লাহর পুত্র এবং নাসারারা বলে ‘মসীহ আল্লাহর পুত্র’। এ হচ্ছে তাদের মুখের কথা। এরা পূর্ববর্তী কাফেরদের মত কথা বলে। আল্লাহ এদের ধ্বংস করুন, এরা কোন উল্টা পথে চলে যাচ্ছে।"
==========
সূরা ত্বোয়া-হা , আয়াত ৮০, ৮১
==========
সূরা ত্বোয়া-হা , আয়াত ৮০, ৮১
"হে বনী-ইসরাঈল! আমি তোমাদেরকে তোমাদের শক্রুর কবল থেকে উদ্ধার করেছি, তুর পাহাড়ের দক্ষিণ পার্শ্বে তোমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দান করেছি এবং তোমাদের কাছে ‘মান্না’ ও ‘সালওয়া’ নাযিল করেছি।" (আয়াত ৮০)
"বলেছিঃ আমার দেয়া পবিত্র বস্তুসমূহ খাও এবং এতে সীমালংঘন করো না, তা হলে তোমাদের উপর আমার ক্রোধ নেমে আসবে এবং যার উপর আমার ক্রোধ নেমে আসে সে ধবংস হয়ে যায়।" (আয়াত ৮১)
===========
সূরা আল মায়েদাহ , আয়াত ৪৪, ৬০
===========
সূরা আল মায়েদাহ , আয়াত ৪৪, ৬০
"আমি তওরাত অবর্তীর্ন করেছি। এতে হেদায়াত ও আলো রয়েছে। আল্লাহর আজ্ঞাবহ পয়গম্বর, দরবেশ ও আলেমরা এর মাধ্যমে ইহুদীদেরকে ফয়সালা দিতেন। কেননা, তাদেরকে এ খোদায়ী গ্রন্থের দেখাশোনা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল এবং তাঁরা এর রক্ষণাবেক্ষণে নিযুক্ত ছিলেন। অতএব, তোমরা মানুষকে ভয় করো না এবং আমাকে ভয় কর এবং আমার আয়াত সমূহের বিনিময়ে স্বল্পমূল্যে গ্রহণ করো না, যেসব লোক আল্লাহ যা অবতীর্ণ করেছেন, তদনুযায়ী ফায়সালা করে না, তারাই কাফের।" (আয়াত ৪৪)
"বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি, তাদের মধ্যে কার মন্দ প্রতিফল রয়েছে আল্লাহর কাছে? যাদের প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, যাদের প্রতি তিনি ক্রোধাম্বিত হয়েছেন, যাদের কতককে বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছেন এবং যারা শয়তানের আরাধনা করেছে, তারাই মর্যাদার দিক দিয়ে নিকৃষ্টতর এবং সত্যপথ থেকেও অনেক দূরে।" (আয়াত ৬০)
======
সূরা আল জাসিয়া , আয়াত ১৬, ১৭
======
সূরা আল জাসিয়া , আয়াত ১৬, ১৭
"আমি বনী ইসরাঈলকে কিতাব, রাজত্ব ও নবুওয়ত দান করেছিলাম এবং তাদেরকে পরিচ্ছন্ন রিযিক দিয়েছিলাম এবং বিশ্ববাসীর উপর শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছিলাম।" (আয়াত ১৬)
"আরও দিয়েছিলাম তাদেরকে ধর্মের সুস্পষ্ট প্রমাণাদি। অতঃপর তারা জ্ঞান লাভ করার পর শুধু পারস্পরিক জেদের বশবর্তী হয়ে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তারা যে বিষয়ে মতভেদ করত, আপনার পালনকর্তা কেয়ামতের দিন তার ফয়সালা করে দেবেন।" (আয়াত ১৭)
Comments
Post a Comment